জলছাদ
টপ ফ্লোরে বসবাস রত লোকজন যেন গরমের তাপ এবং পানির চোয়ানোর লিকেজ থেকে বাসা/ বাড়িকে নিরাপদ রাখার জন্য ছাদের কেমিক্যাল ব্যবহার করে তার পর কিছু ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে কংক্রিট তৈরী করে যে নিদিষ্ট ৬"/৮" পুরু করে ঢালাই করা হয় তাকে জলছাদ বলা হয়।
জলছাদ কেন করা হয়? কিভাবে করা হয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
ছাদ টি ভালো করে পরিষ্কার করে ওয়াটার প্রুফিং ক্যামিক্যাল প্রলেপ দেয়া হচ্ছে।তাহার কিছু অংশ।
জলছাদের মালামাল নিছে দেয়া হলোঃ-
১.চুন
২.সুরকি
৩. খোয়া
এবং পরিমাণ মতো পানি।
মালামাল মিক্সার করার এর অনুপাত (২ঃ২ঃ৭)
২ ফেরা চুন,২ ফেরা সুরকি, ৭ ফেরা খোয়া।
জল ছাদ হচ্ছে ছাদের টপ ছাদ বা যাকে রুফ স্লাব বলা হয়।যেহেতু ছাদের উপর এর অংশ তাই পানির লিকেজ করার সম্ভাবনা থাকে তাই বিভিন্ন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে প্রলেপ দেয়া হয়।উপরের অংশটি প্রচুর পরিমান রোধের তাপ লাগে যা রুফ স্লাবের ভেদ করে রুমে প্রচুর গরম অনুভুতি হয় যা।খূবই কষ্ট সাধ্য গরম কালে।ছাড়াও পানি নিরোধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর প্রতিকার হিসাবে রুফ স্লাবের উপর ৬"/৮"/১০" পুরু ব্রিক চিপস,চুন এবং সুরকি ও পরিমান মতো পানি দিয়ে ২:২:৭ অনুপাতে ভালো করে মিক্সার মেশিন এর সাহায্যে মিক্স করে নিতে হয়।মিক্সার কৃত মালামাল ছাদের উপর উঠানো হয়। এবং প্রতি ২৪ ঘন্টার পর পর তা কোদাল দিয়ে কেটে নেয়া হয়।
জলছাদের মিশ্রণ কৃত মালামালের কিছু অংশ।
এই ভাবে ৩ বার প্রতি ২৪ ঘন্টার পর পর কংক্রিট গুলা কেটে আঠালো করে নেয়া হয়।এর পর পুরু ছাদ কে সমান থিকনেস করে।
কাঠের হাতল দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে সমান করা হয়।
সম্পপূর্ন কাজ শেষ হলে জলছাদের উপর সিমেন্টের পাতলা আবরন বা যাকে আমারা গ্রাউট বলে থাকি তা দেয়া হয়।ছাদের সব অংশ জুড়ে ভালো করে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার জলছাদের মেমব্রেন, টালি পানি নিরোধক ক্যামিক্যাল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।সেতা নির্ভর করে খরচ এর উপর কাছের কোয়ালিটি মানের উপর নির্ভর করে কাজ করা হয়ে থাকে।