বাংলাদেশের সর্ববৃহত কঠিন শিলার খনি কোথায় জানেন কি ? বিস্তারিত জানুন

 

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কঠিন শিলার ভূ-গর্ভস্থ অঞ্চল হলো দিনাজপুরের পার্বতীপুরে।এটি যেন বাংলাদেশের সব থেকে বড় কঠিন শিলার স্তর।এই কঠিন শিলার ভূ -গর্ভস্থ থেকে প্রায় প্রতি দিন ৫০০০ হাজার টন কঠিন শিলার উত্তোলন হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে প্রল্পের প্রতিষ্টান পেট্রবাংলা। 

দিনাজপুরের কঠিন সিলার খনি

তবে নানা জটিলতার কারনে কিছু দিন পাথর উত্তোলন কখন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।তবে এটির উত্তোলন কাজ আবার শুরু হয়েছে।সাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে দিকে ভূ জরিপ করে উঠে আসে এই কঠিন শিলার তথ্য।২ দশক পর ১৯৯৪ সালের দিকে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিষ্টান প্রল্পের কাজ শুরু করে।

তবে তারা ব্যর্থ হয় তার পর অনেক যুগ পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এবং বেলারুশের একটি যৌথ প্রতিষ্টান  জার্মানিয়াম ট্রিস কনসোর্টিয়াম জিডিসি সাথে চুক্তি করে খনিকতৃপক্ষ ও পেট্রবাংলা। সেই সময় কাল থেকে প্রায় এই খনি থেকে ৩ শিফটে প্রায় ১০০০ ফুট গভীর থেকে চলছে উত্তোলনের কাজ।

কঠিন শিলার ভাংজ্ঞা পাথর

আমাদের এই বাংলাদেশের দিনাজ পুরে যে খনি টি রয়েছে তা থেকে যদি প্রতিদিন ৩০/৪০ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হতো। তা হলে হয়তো বিদেশ থেকে পাথর আমদানি কমে যেত। দেশের পাথর দিয়েই তৈরী হতো সপ্নের মদ্মা সেতুর মতো বড় বড় প্রকল্প গুলো।ধারনা করা হচ্ছে সে ১.৪ কিলোমিটার প্রস্থের এই খনিতে প্রায় ১৭২ মেট্রিকটন কিঠিন শিলার মজুত রয়েছে।কঠিন শিলার ক্ষনি।


সিলেট:

প্রকৃত কন্যা সিলেট যাকে বলা হয়। এছাড়াও সিলেট কে লন্ডন নামে অভিহিত করা হয়।সিলেট শুধু একটি পর্যটক জায়গা নয়। এখান থেকে আসে প্রয়ায় প্রতি দিন কয়েক হাজার জন পাথর।  যা সিলেটের আসে লাসের জেলা গুলো থেকেও।সিলেট এর সাথে রয়েছে হবিগঞ্জ,কম্পানিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ইত্যাদি জায়গা থেকে।

এছাড়া পাথর উত্তোলনের জন্য ভোলাগঞ্জ, দিনাজপুরের তেতুলিয়া থেকে পাথর উত্তোলন হয়ে থাকে।বাংলাদেশের পাথরের মধ্যে এলসি, ভূরীমারী, ব্লাক ডায়মন্ড, ভোল্ডার ভাংজ্ঞা পাথর ইত্যাদি পাথর পাওয়া যায়। তবে এর উত্তোলন খুবি কম হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশে পাথরের চাহিদা মেটাতে বাহির থেকে পাথর উত্তোলন করতে হয়।বাংলাদেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্টান কে।তবে আমাদের দেশে বেশি ভাগই পাথর উত্তোলন হয় অবৈধ ভাবে। 

যা প্রভাব পরে প্রকৃতের সৌন্দর্য্য উপর। আমাদের উচিত যেন এই সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষার বৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করার।তাতে দেশের পাথরের চাহিদাও মিটবে এবং প্রকৃতিও রক্ষা পাবে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post