ব্রিটিশদের যুগ থেকে ট্রেনের রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে আসছে।জনবহুল দেশে যোগাযোগ ব্যবস্তা কে তুরানিত করার জন্য।ভারি মালামাল সহজে এক জায়গা থেকে অন্যত্র পৌছাতে ট্রেনের ভুমিকা অপরিসীম। ব্যস্তবহুল শহরকে যেমন যানজট মুক্ত রাখে তেমনি মানুষের নিরাপদে গন্তব্যে পোঁছাতে পারে।
তাই আজকে আমরা বাংলাদেশের কত সাল হতে ট্রেনের আভির্ভাব এবং কোথা থেকে শুরু হয় তারি বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশে রেলপথ আসার ইতিহাস :
সময়টা ছিল ১৯৯৮-১৯৯ সাল বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে শুরু করে জগন্নাথগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ্য ৮৮ কিলোমিটার রেললাইন এর রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ গ্রহন করে থাকে।তবে এটি তখন শুধু মাত্র একজন ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্টান মিটারগেজ রেল প্রকল্পটি চালু করে থাকে।
যোগাযোগ ব্যবস্তা কে আর তুরানিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ সালে প্রথম মৈত্র ট্রেন চালু করে।যা বাংলাদেশে ঢাকা থেকে সহজে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্তা প্রসার ঘটে থাকে।এর ফলে তখন থেকে দুই বাংলার সরাসরি বাণিজ্যক কর্মকান্ড কাজ আরো সহজ হয়।
বিচার বিশ্লেষণ করে সারা রেলপথ কে প্রস্থের উপর কেন্দ্র করে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।১/বর্ডগেজ,২/ মিটার গেজ, ৩/ন্যারো গেজ,৪/স্ট্যান্ডার্ড গেজ।
তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্ডগেজটি চালু ছিল তখন।
বর্ডগেজ পরিচিতি :
সেই সময়ের পশ্চিমবজ্ঞের একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্টান কম্পানি বাংলাদেশ এবং কলকাতার রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু করে। তখন রেলপথটি ছিল শুধু মাত্র কলকাতা হতে বাংলাদেশের রানার ঘাট পর্যন্ত।সময় টা ছিল তখন ১৮৬২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর ৫ ফিট ৬ ইঞ্জি রেলপ্রকল্পের পথ টি রানার ঘাট হয়ে দর্শনা ও কুষ্টিয়া তে গিয়ে শেষ হয়।এবং সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল ২০০৮ সালের নাঘাত বাংলাদেশ এবং কলকাতাবাসীর সরাসরিভাবে রেলপথে যাতায়াত শুরু হয়।
বাংলাদেশে কয়েকটি রর্ডগেজ প্রকল্প রয়েছের তার মধ্যে ঢাকা হতে সরাসরি দক্ষিণে কুমিল্লা, ফেনী,আখাউড়া, হয়ে চট্রগ্রাম রেল ষ্টেশন গিয়ে থাকে।আরেকটি বর্ডগেজ রয়েছে যা উত্তর বজ্ঞের ঢাকা হতে যমুনা হয়ে রাজশাহী, খুলনা,এবং কুষ্টিয়া রেলষ্টেশনে গিয়ে থামে।তার মধ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে দেখা যাবে আখাউড়া থেকে সিলেট গামী যে মিটার গেজ প্রকল্পটি ছিল সেটি ডুয়েলগেজে রুপান্তর করতে।ডুয়েলগেজের জন্য প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয়ে ১৬ হাজার ১০০ শত ৪ কোটি টাকা।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এর জন্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে।আসা,করা যাচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে চলাচল করতে পারবে আখাউড়া হতে সরাসরি সিলেট গামীর নগরবাসী। সিলেট বাসির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্তা আরো উন্নতির এক ধাব এগিয়ে যাবে।পরিচিত হিসাবে বলা যায় সে সব ট্রেন বর্ডগেজ লাইন দিয়ে চলাচল করে তাকে বর্ডগেজ ট্রেন বলা হয়।
বর্ডগেজ আসন সংখ্যা ১১০ থেকে ১২০ জন পর্যন্ত হয়ে থাকে প্রতিটি প্লাটফর্মে।
মিটার গেজ ট্রেনের পরিচিত :
যে সব ট্রেন মিটারগেজ রেলপথ দিয়ে চলাচল করে থাকে তাকে মিটার গেজ ট্রেন বলা হয়।
মিটার গেজ ট্রেনেটি ৩ ফিট প্রস্থের হয়ে থাকে চউড়া।মিটারগেজ ট্রেনটি এক শহর থেকে অন্য শহরে প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে।মিটার গেজ লাইনে সাথে আরো একাধিক লাইন স্থাপন করা হয়।
যেমন:ডুয়েলগেজে রেলপথ।
তবে বাংলাদেশে এখনো ডুয়েলগেজের রেলপথ ব্যবস্তা চালু হয়নি।কিন্তু পশ্চিমা দেশ গুলোতে সব থেকে বেশি ডুয়েলগেজ রেলপথ হয়ে থাকে।তবে একটি ব্যাপার হলো রর্ডগেজ লাইন দিয়ে মিটারগেজ ট্রেন চলাচল করতে পারে।মিটারগেজ লাইন সংস্থাপন ও নির্মান ব্যয় তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে বর্ডগেজ হতে।তবে যে সব লাইনে বেশি ট্রেন বা মালবাহী ট্রেন এবং অনেক দৈর্ঘ্যের পথ স্থাপিত হয় সে সব জায়গায় বর্ডগেজ রেলপথ নির্মান করা হয়ে থাকে।
মিটার গেজ ট্রেনের আসন সংখ্যা থাকে ৬৮-৭৮ জন প্রতিটি প্লাটফরমে।মিটার গেজ ট্রেনে প্রায় ২০/২৫ টি বগী স্থাপন করা হয়ে থাকে।
ন্যারো গেজ ট্রেনের পরিচিতি :
ন্যারো গেজ লাইন করা হয়ে থাকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি চঞ্জলে। যাতে দূর্ঘটনা কবলে না পড়ে। এটি কয়েকটি বগীর সমন্নয়ক হয়ে একটি ন্যারো গেজ ট্রেন তৈরি করা হয়ে থাকে।এতে ভারি মালামাল বহন যোগ্য নয়।এটির প্রস্থের ২.৫ ফুট উচ্চতা হয়ে থাকে।এই সব ট্রেড খাগড়াছড়ি, বান্দরবন রাংগামাটি পার্বত জেলা সমুহের জন্য উপযোগী। তবে এখনো এই সব যায়গায় ন্যারো গেজ চালু হয়নি।তবে বাংলাদেশ সরকার এর জন্য বাজেট গষোনা করা হয়েছে এই রেলপথের জন্য।এর আসন সংখ্যা প্রতিটি প্লাটফর্ম এ ২০/২৫ জন করে।
স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলপথের পরিচিতি:
স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলপথ ছোট ছোট শহর গুলোতে যাতায়াত করে থাকে।তবে এদের নিদিষ্ট কোন রেলপথ নেই বর্ডগেজ বা মিটার গেজ লাইন দিয়ে সময় এর সাথে তাল মিলিয়ে চলাচল করে থাকে।এই রেলপথটি প্রস্থের ৪ ফুট ৬ ইঞ্জি হয়ে থাকে।এই সব ট্রেনে ৪০/৪৫ জন জনবল যাতায়াত এর ব্যবস্তা রয়েছে প্রতিটি প্লাটফর্মে।
বর্ডগেজ ট্রেন মিটারগেজ ট্রেন